৬-১২ মাস বয়সি বাচ্চার ফুড চার্ট

  ৬-১২ মাস বয়সি বাচ্চার ফুড চার্ট


৬-১২ মাস বয়সি বাচ্চার ফুড চার্ট,বয়স যখন ৬ মাস,খাবার মেন্যু ৬-৮ মাস,বয়স যখন ৮-১২মাস,টিপস & ট্রিকস,ফর এক্সাম্পল।



৬-১২ মাস বয়সি বাচ্চার ফুড চার্ট
৬-১২ মাস বয়সি বাচ্চার ফুড চার্ট


৬-১২ মাস বয়সি বাচ্চার ফুড চার্ট। নিউ মাম্মি হিসেবে আমি জানি বাচ্চার খাবার নিয়ে মায়েরা কতটা কনসার্ন তাই এই চার্ট বানানোর ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। কারো ভালো না লাগলে ইগনোর প্লিজ। শুরুতেই বলে নিই আমি কোন স্পেশালিস্ট না। গুগল মামা, পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স এবং আমার বাচ্চার পেডিয়াট্রিশান ( Dr. Lisa Forman) আমার এই লেখার সোর্সঅনেক পেডিয়াট্রিশান মুলত ৪-৬ মাসের মধ্যে খাবার ইনট্রুডিউস করাতে বললেও কখন বুঝবেন বাচ্চা সলিড ফুড নেওয়ার জন্য প্রস্তুতঃ বাচ্চা যখন।


১। হাল্কা সাপোর্ট দিলে বসতে পারে

২।খাবারের প্রতি ইনটারেস্ট দেখায়

৩। হা করে খাবার নিতে পারে



 বয়স যখন ৬ মাস

৬ মাস বয়সি বাচ্চার ডেইলি খাবার মেন্যুতে যেকোন একটা খাবার রাখা উচিত। দিনে অনেকগুলো আইটেম দিলে সে কনফিউজড হয়ে খাবার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। একটা একটা আইটেম দেওয়ার আরেকটা সুবিধা হলো কোন খাবারে সে এলার্জিক কিনা এটা আইডেন্টিফাই করা যায়। এই বয়সে বাচ্চা হয়তো একবারে ১-২ টেবিল চামুচ এবং সারাদিনে ২টা মিল নিবে। ৬ মাস বাচ্চার প্রধান খাবার ব্রেস্টমিল্ক অথবা ইনফ্যান্ট ফর্মুলা।



 খাবার মেন্যু ৬-৮ মাস

 * সিরিয়ালঃ ওটস সেরেলাক, মিক্স গ্রেইন সেরেলাক। রাইস সেরেলাক এভয়েড করা উচিত কারন এটা ওয়েট বাড়ায় খুব দ্রুত কিন্তু পুষ্টি খুবি কম। ওটস সিরিয়াল ব্রেস্টফিডিং বেবিদের জন্য খুবি দরকারি কারণ এদের এনিমিয়া( আয়রণ ডেফিসিয়েন্সি) হওয়ার চান্স খুব বেশি। আর ওটসে প্রচুর আয়রন থাকে। দিনে দুবার ওটস দিলে ভালো। 

*ফ্রুটস/ ভেজিস পিউরিঃ কলা, আপেল, পিয়ার, মিষ্টি আলু, মিস্টি কুমড়া, গাজর, আম, সুইট কর্ন অথবা মিক্স ফ্রুটস। মোট কথা আপনার পছন্দমত ফল, সবজি নিয়ে পিউরি বানাতে পারেন।

*খিচুড়িঃ পছন্দমত চাল, ডাল এবং সবজি দিয়ে পাতলা খিচুড়ি বানাতে পারেন। আস্তে আস্তে তাতে মাংস, মশলা এবং তেল এড করতে পারেন । শুরুতেই সব একসাথে দেওয়া যাবেনা । আস্তে আস্তে ইনগ্রেডিয়েন্টস বাড়াতে হবে। 



 বয়স যখন ৮-১২মাস 

এই স্টেজে বাচ্চা তিনটা প্রধান মিল এবং হয়তো দুইটা হালকা স্ন্যাক নিবে। 

*ব্রেকফাস্টঃ সেরেলাক সাথে ফ্রুট পিউরি।

* লাইট স্ন্যাক বিফোর লাঞ্চঃ ছোট টুকরো করা ফল, অথবা পাস্তা যেটা বাচ্চা আঙ্গুল দিয়ে খেতে পারে। অথবা আপনার পছন্দমত কিছু একটা।

* লাঞ্চঃ ভাত সাথে ডাল , সব্জি এবং মাছ/ খিছুড়ি / বড়রা যা যা খায়।

* ইভিনিং স্ন্যাকঃ ইউগার্ট ( অবশ্যই পেস্তুরাইজড) এর সাথে ম্যাশড বানানা অথবা অন্য কোন ফ্রুট পিউরি। অথবা স্ক্রাম্বল্ড এগ/ বানানা প্যানকেক/ ফ্রেঞ্চ টোস্ট ইত্যাদি। 

* ডিনারঃ পাস্তা/ নুডলস/ সেরেলাক/ ভাত/ খিচুড়ি। 

* ৮ মাস থেকে পানি ও ডিম দেওয়া যাবে। তবে ডিম কুসুম দিয়ে শুরু করতে হবে। কারন সাদা অংশ হাইলি এলার্জিক। এবং সপ্তাহে দুটোর বেশি ডিম নয়। এবং ১১ মাস থেকে সপ্তাহে মাত্র ৩টি ডিম দেয়া যাবে।

বেবি যদি কোন একটা মিল স্কিপ করে প্যানিক হবেন না।কারণ এই স্টেজেও তার প্রধান খাবার দুধ। 

১০-১২ মাস বয়স হচ্ছে তাদের এক্সপ্লোরিং টাইম। এসময় তাদের পছন্দ অপছন্দের লিস্ট তৈরি হবে । বাচ্চার খাওয়ার চেয়ে দুস্টামিতে বেশি মনোযোগী থাকবে। কৌশলের সাথে হ্যান্ডেল করতে হবে। 


টিপস & ট্রিকসঃ 

১. বাচ্চা যখন হাল্কা ক্ষুদার্ত কিন্তু হ্যাপি তখনি তাকে খাবার অফার করবেন। বাচ্চা ক্ষুদায় কান্না শুরু করলে আর খেতে চাইবেনা ।

২. বাচ্চা পুরো খাবার শেষ করবে এমনটা কখনো আশা  করা যাবেনা।

3. বাচ্চা যদি কোন খাবার পছন্দ না করে তাহলে দুই একদিন পরপর ভিন্নভাবে সেই খাবার ট্রাই করতে পারেন। বাট ডোন্ট ফোর্স ইউর লিটল ওয়ান।

4.  যখন খাওয়াতে বসবেন বাচ্চার হাতেও একটা চামুচ দিন।

5. ৮ মাসের পর থেকে ফিঙ্গার ফুড দিন।

6. যতদিন পানি না খাচ্ছে ততদিন পাতলা খাবার দিন তাহলে আর কন্সটিপেটেড হবে না।

7. ১ বছরের আগে গরুর দুধ এবং সাইট্রাস ফল ( লেবু) দেওয়া যাবেনা।

8. বাচ্চার খাবারে চিনি এবং লবণ এভয়েড করুন। মিষ্টি করতে চাইলে খাবারে খেজুর অথবা সুইট ফ্রুটস এড করুন।

10. প্রসেসড জুস, চিপ্স, কুকি এসব এভয়েড করতে হবে। এগুলা খাবারের রুচি এবং দাত নষ্ট করে।

11. বড়দের সাথে প্রত্যেকবেলা বেবিকেও খেতে দিন। 

12. প্রতিদিন একি খাবার দিবেন না। খাবারে ভেরিয়েশান আনুন।

১২।বাচ্চাকে খাবার নিয়ে খেলতে দিন । খাবে, নষ্ট করবে কিন্তু শিখবে। 

13. সলিড ফুডে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য কিছু সময় দেওয়া উচিত। খায়নি বলে সারাক্ষণ খাবার নিয়ে লেগে থাকা যাবেনা। হিতে বিপরীত হবে।



ফর এক্সাম্পলঃ

 আপনি যদি ঘন্টার পর ঘন্টা বাচ্চার পেছনে খাবার নিয়ে লেগে থাকেন , বাচ্চা তখন এটেনশান পাওয়ার লোভে এই সময় দেয়াকে সাবকনশাসলি হ্যাবিটে পরিনত করবে।}

সবশেষে একটাই কথা প্রত্যেকটা বাচ্চা আলাদা । পছন্দ-অপছন্দ, পার্সোনালিটি সবই আলাদা। নিজের বাচ্চার জন্য নিজের মত করে এবং বাচ্চার পছন্দানুযায়ী খাবার মেন্যু তৈরী করুন।

Tags

Post a Comment

0 Comments