ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবে,কি কি খাওয়া যাবেনা/ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে
কি কি খাওয়া যাবেনা |
তবে ফলাফল যে সবার জন্য উপকারী তা বলা যাবে না। ফল খাওয়ার কিছু বিশেষ নিয়ম আছে, বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিক তাদের জন্য। মনে রাখবেন, কিছু ফল আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আপনি যদি ডায়াবেটিক বা সুগারের রোগী হন তবে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফলের তালিকায় রয়েছে আপেল, কমলালেবু, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, কালোজাম। মাঝারি গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফলগুলো হল কলা, আনারস, আম, আঙুর, বেদানা, কিশমিশ, পেঁপে, কিউই, লিচু, আতা এবং উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত ফল হল তরমুজ, খেজুর, আপেল।
কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে
উচ্চ প্রক্রিয়াজাত সাদা আটা দ্রুত শক্তি জোগালেও অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাতকরণের ফলে পুষ্টি উপাদান কমে যায়। যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে। তবে সাদা আটা এড়িয়ে চলাই ভালো। এ ছাড়া সাদা শস্য, যেমন সাদা রুটি ও সাদা পাস্তায় রয়েছে উচ্চমাত্রায় শ্বেতসার।
ডায়াবেটিস থাকলে কোন শাকসবজি খাওয়া যাবে না?
মাটির নিচের সবজিতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। এই উপাদানটি ডায়াবেটিক রোগীর জন্য ক্ষতিকর। তাই এ ধরনের সবজি খাওয়া উচিত পরিমিতভাবে। এর মধ্যে আছে আলু, মিষ্টি আলু, বিট, শালগম, কচু ইত্যাদি।
ডায়াবেটিসে মুড়ি খাওয়া যাবে কি
ডায়াবেটিস রোগীদের সকাল আটটার মধ্যে তিনটি ছোট পাতলা আটার রুটি, একটি ডিম বা এক বাটি ডাল, সবজি ও ফল খেতে হবে। বেলা ১১টায় মুড়ি বা বিস্কুট এবং যেকোনো ফল খান।
ডায়াবেটিসে চিড়া খাওয়া যাবে কি
তবে শস্য খাওয়া যেতে পারে- চাল, গম, ছোলা, রুটি, নুডুলস, লবণাক্ত বিস্কুট, ডাল, বাদাম, তিলের বীজ, উদ্ভিজ্জ তেল, আলু, গাজর, শালগম, শাকসবজি (সব ধরনের), চর্বিহীন মাংস, মাছ, ফলমূল, অ - চর্বিযুক্ত দুধ, পনির, ছোলা এবং ডিম।
ডায়াবেটিসে মধু খাওয়া যাবে কি
টাইপ-২ ডায়াবেটিস (type 2 diabetes) রোগীদের কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারের উপাদানের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। তা না হলে রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের গবেষণা বলছে, ডায়াবেটিস রোগীরা সীমিত পরিমাণে মধু খেতে পারেন। তবে মধু খেতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ডায়াবেটিস রোগী কি কিসমিস খেতে পারবে
ডায়াবেটিসে কিসমিস খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এপ্রিকট খাওয়া ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য খুব ভালো বলে মনে করা হয়। এটি একটি স্বাস্থ্যকর শুকনো ফল, যা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।
ডায়াবেটিস রোগী কি নারকেল খেতে পারবে
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খেজুর বা আখের গুড় বা চিনি নিষিদ্ধ হলেও কৃষি বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীরা নিরাপদে নারকেল গুড় খেতে পারেন। কারণ নীরাতে গ্লাইসেমিক উপাদান রয়েছে বিপদসীমার অনেকটাই নীচে। এনার্জি বুস্টার হিসাবেও কাজ করে নীরা।
ডায়াবেটিস রোগী কি আপেল খেতে পারবে
বিশেষজ্ঞদের মতে, মিষ্টি আপেল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয় একেবারেই। উচ্চ ফাইবারযুক্ত এই ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আপেলের GI ইনডেক্স ৩০ থেকে ৫০। তাই দিনে একটি ছোট আপেল খাওয়া যেতেই পারে।
ডায়াবেটিস রোগী কি কলা খেতে পারবে
তাদের দাবি, নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিস রোগীরা কলা খেতে পারেন। তবে কোনো রোগী কলা খেতে পারবেন কি-পারবেন না তা নির্ভর করছে কলা কতটা পেকেছে তার উপর। কাঁচা কলা: কাঁচা কলায় ডায়াবেটিক ও প্রি-ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সমস্যার নয়। এ ধরনের কলায় 'রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ' নামক উপাদান থাকে, যা ক্ষুদ্রান্ত্রে দ্রুত পাচিত হয় না।
ডায়াবেটিস রোগীরা কি ডিম খেতে পারবে
আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়মিত ডিম খাওয়া উচিত। কারণ প্রতিটি ডিমে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে দশমিক ৫ গ্রাম পরিমাণে, যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
ডায়াবেটিস রোগীরা কি দুধ খেতে পারবে
এর পাশাপাশি ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপনি দুধ পান করতে পারেন। University of Guelph এবং University of Toronto-এ পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে দুধ পান করা যায় তাহলে তা টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এতে নিয়ন্ত্রণে থাকতে রক্তে শর্করার মাত্রা।
কি খেলে ডায়াবেটিস হবে না
সবুজ শাকসবজি টাইপ 2 ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। পালং শাক, শাক, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুস পাতা ইত্যাদিতে ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। গবেষণায় বলা হয়, সবুজ শাক সবজি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে। লেবু : লেবু ও লেবু জাতীয় ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে।
কি খেলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমে
দারুচিনি: দারুচিনির বেশ কিছু থেরাপিউটিক গুণ রয়েছে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন 3-6 গ্রাম দারুচিনি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে পারে। দারুচিনি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়। ব্লাড সুগার কমিয়ে রাখলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে
ফজলে রাব্বী খান বলছেন, ডায়াবেটিস একবার আক্রান্ত হলে তা চিকিৎসায় পুরোপুরি নিরাময় করা যায় না। এটি তেমন রোগ নয়। কিন্তু সেটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আর নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়।
ডায়াবেটিস হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে
বিভিন্ন বেরি জাতীয় ফল আপনার মিষ্ট খাবার খাওয়ার ইচ্ছে পূরনের পাশাপাশি ডায়াবেটিসে উপকার করতে পারে। এ জন্য আপনি ব্ল্যাকবেরি, ব্লুবেরি বা স্ট্রবেরি বেছে নিতে পারেন। কারণ এ ফলগুলোর সবটাতেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ শক্তিতে ভরপুর। এই ফলটি ফাইবার ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।
সুগার হলে কি কি খাওয়া যাবে না
আর তাই এই সব খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। ডায়াবেটিসের রোগীদের স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কমাতে হবে। যে সব খাবারের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি যেমন মাখন, ঘি, দুধ, রেড মিট এসব এড়িয়ে চলতে হবে। পরিবর্তে অলিভ অয়েল খাওয়া শুরু করুন।
This comment has been removed by the author.
ReplyDelete